শাহরিয়ার কবিরের ইসলাম বুঝ ও জামায়াত রাজনীতির বিরোধিতার কারন

বেশকিছু দিন থেকে আমার বুঝ হল-বাংলাদেশে যারা মৌলবাদ বা ইসলামপন্থী রাজনীতির বিরোধী তাঁদের ইসলাম বুঝ অনেকাংশে জামায়াত ইসলামীর হাজির করা ও চর্চা করা ইসলামের আলোকে নির্ধারিত। বিষয়টা প্যারাডক্সিকাল মনে হতে পারে। সহজ করে বললে বিষয়টা হল এরকম- তাঁদের কাছে ‘ইসলামপন্থা মানে জামায়াত, ইসলামের যে কোন রাজনৈতিক বক্তব্য মানে জামায়াত’। এই বুঝ বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক উভয় দিক দিয়েই সমস্যাজনক। দিন শেষে, ‘ইসলাম=জামায়াত’, জামায়াতের এই তত্ত্বেরই ভোক্তা তাঁরা। জামায়াত ইসলামী ইসলামের রাজনৈতিক দিককেই ইসলামের সামগ্রিকতা প্রমাণের প্রধান উপাদান মনে করে এবং সেটা প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে। জামায়াতের সাথে অন্য মতাদর্শের লড়াইও মূলত রাজনৈতিক এবং ক্ষমতার প্রশ্নে সেকুলার, জাতীয়তাবাদী ও সমাজতন্ত্রীদের কাছে জামায়াত ঠেকানো গুরুত্বপূর্ণ। জামায়াত ঠেকাতে গিয়ে তাঁদের অনেকেই ইসলামকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ফেলেছে। পাকিস্তান আমলের বামপন্থীদের ইসলাম বুঝকে খুব সহজে এই সূত্রে ফেলে দেয়া যায়। জামায়াতের ৭১ এর ভূমিকার কারনে সেকুলার-লিবারেলদের মধ্যে ইসলাম প্রশ্ন ও জামায়াত সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মাওলানা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর সাথে শাহরিয়ার কবিরের আলোচনা থেকে আমার এই পর্যবেক্ষণ আরো পোক্ত হল। এই আলোচনা থেকে কে কি পেয়েছেন বা কি বুঝেছেন জানি না, কিন্তু আমি ইসলাম প্রশ্নে শাহরিয়ার কবিরের বোঝাপড়াটা আসলে কি সেটা বুঝেছি। তাঁর অনেক বক্তব্যের সাথে আমি ভিন্নমত পোষণ করি। তবে আমি তাঁর ইসলাম বুঝকে কনটেক্সুয়ালাইজড করতে পারি এবং সেভাবেই বুঝতে পারি। ২০১৪ সালে দেয়া এক আত্মজৈবনিক সাক্ষাৎকারে, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে দেয়া জবানবন্দি এবং সাম্প্রতিক আলোচনায় জামায়াত প্রশ্নে শাহরিয়ার কবিরের অবস্থান আমার কাছে বেশ কনসিসটেন্ট মনে হয়েছে। সেসব বক্তব্যের আলোকে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হল, শাহরিয়ার কবিরকে ইসলাম বিরোধী বলার চেয়ে জামায়াত বিরোধী বলাই শ্রেয়। আরো প্রসারিত করে হয়ত তাঁকে রাজনৈতিক ইসলামের বিরোধী বলা যায়।

আমি এখানে ইসলাম প্রশ্নে তাঁর অবস্থান এবং জামায়াত বিরোধিতার কারন বুঝতে চেষ্টা করেছি। আমি এটাও মনে করি, বাংলাদেশের পাকিস্তান প্রজন্মের কাছে জামায়াতের যে ইমেজ সেটা কম বেশি শাহরিয়ার কবিরের বক্তব্যের মতই। এখন কেউ যদি জামায়াত বিরোধিতাকেই ইসলাম বিরোধিতা মনে করেন, সেটা একান্তই ব্যক্তিগত ভাবনা। আমি এরকম চিন্তা ভাবনাকে সমস্যাজনক ও আত্মঘাতী মনে করি। কেননা, বাংলাদেশে জামায়াত বিরোধিতা কেবল রাজনৈতিক কারনে নয়, যে ধর্মকে ভিত্তি করে জামায়াতের রাজনীতি, সেই ধর্মীয় কারনেই সংখ্যাগুরু মুসলমান এবং আলেম-উলামা জামায়াতের বিরোধী। রাজনৈতিক কারনে জামায়াত বিরোধিতাকে যদি ‘ইসলাম বিরোধিতা’ হিসেবে চিত্রিত করা হয়, তাহলে ধর্মীয় কারনে জামায়াত বিরোধিতাকে কি বলা হবে?

প্রশ্ন : আপনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরোধী।

শাহরিয়ার কবির : আমি ধর্মের রাজনীতির বিরোধী। ধর্ম পবিত্র বিষয়। ধর্মকে রাজনীতিতে টেনে আনা ঠিক নয়।

প্রশ্ন : ব্যক্তিগতভাবে আপনি জামায়াত বিরোধী ব্যক্তি। তাই দীর্ঘদিন যাবত আপনি জামায়াতের বিরুদ্ধে বই লিখছেন মিথ্যাচার করছেন ও বিবৃতি দিচ্ছেন।

শাহরিয়ার কবির: আমি মনে করি জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে গণহত্যাকারী মানবতাবিরোধী সংগঠন। জামায়াতের রাজনীতি ধর্মের নামে হত্যা, ধর্ষণ বৈধতা দিয়েছে। তাই আমি জামায়াতের বিরুদ্ধে লেখালেখি করি।(১)

সাপ্তাহিক : মৌলবাদের বিরুদ্ধে তো আপনি দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছেন। ধর্ম সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি?

শাহরিয়ার কবির:….আমি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি পছন্দ করি না। এটা আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস। কেউ যদি আমাকে নাস্তিক বলে আমি অবশ্যই তার বিরুদ্ধে মামলা করব। আমি কখনোই নাস্তিক না। আমিনী আমাকে স্বঘোষিত নাস্তিক বলেছিল। আমি তাকে বলেছিলাম, আপনাকে প্রমাণ করতে হবে কোথায় আমি নিজেকে নাস্তিক দাবি করেছি। তিনি আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ব্যক্তিগতজীবনে আমি কী সেটা আমি জনসম্মুখে আলোচনা করতে চাই না। আমি মোল্লাদের সব সময় একটা কথাই বলি, মাই আন্ডারস্ট্যান্ডিং অব ইসলাম ইজ নট লেস দ্যান ইউরস।

ইউরোপ আমেরিকায় যারা নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ দাবি করে তারা শুধু রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে নয়, নিজেদের ব্যক্তি জীবন থেকেও ধর্মকে নির্বাসিত করছে। তারা কেউই চার্চে যায় না। ২০০৭ সালে সেন্ট পিটার্সবুর্গে একটি সম্মেলন হয়েছিল। ‘সেক্যুলার ইসলাম সামিট’। মুসলিম দেশগুলো থেকে তার ধর্মনিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশ থেকে আমি ছিলাম। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা সব এলাকারই বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিল। সেখানে ঈশ্বরকে বাতিল করে তারা একটা ঘোষণায় যেতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি বলেছিলাম রাষ্ট্র এবং রাজনীতি থেকে ধর্মকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে, কিন্তু ধর্ম থাকবে ব্যক্তি জীবনে। প্রত্যেকটি দেশের রাজনীতি থেকে ধর্মকে আলাদা করতে হবে। এমনকি এটা আমেরিকাতেও নেই। ঈশ্বরকে বাতিল করে ঘোষণা দিলে আমরা কাজ করতে পারব না, বিপদে পড়ব। তখন তারা আমাকে বললেন, তোমাকে আমরা এখানে নির্মূল কমিটির নেতা হিসেবে ডাকিনি। ডেকেছি একজন ধর্মনিরপেক্ষ পণ্ডিত হিসেবে। তারা আমাকে বলল, তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বললাম, পৃথিবীতে প্রতি ছয় জনের মধ্যে একজন নাস্তিক বাকি পাঁচ জন আস্তিক। এদেরকে ফেলে দেয়া যাবে না, বাতিল করে দেয়া যাবে না। আমাকে এদের সঙ্গেই কাজ করতে হবে। সম্মেলনের সংখ্যাগরিষ্ঠরা আমার মতের পক্ষে চলে এলেন। অবশেষে সেই ঘোষণার নিচে আমরা যারা দ্বিমত করেছিলাম বিরোধী পক্ষ হিসেবে আমাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। ইবনে বারাক থেকে শুরু করে অনেক বিশিষ্ট ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী নেতা সেই ঘোষণায় দ্বিমত পোষণ করেছিলেন। এরপর ওই ফোরামটা ভেঙ্গে যায়। আমার কাছে এটাকে একটা বড় সমস্যা মনে হয়েছে যে, আমরা ব্যক্তিগত ধারণাটাকে অন্যদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাই।

সাপ্তাহিক : ‘বিচিত্রা’য় আপনাদের মূলনীতিটা কী ছিল?

শাহরিয়ার কবির : গোড়া থেকেই ‘বিচিত্রা’র মধ্যে বামপন্থিরা বেশি থাকায় এর একটা এন্টি-আওয়ামী চরিত্র ছিল। পরবর্তীতে এটা যে সরকারই আসুক তার বিরোধী, এরকম একটা চরিত্র পেয়েছিল। এরশাদের সময় বলে দেয়া হয়েছিল যে, সরকারের বিরুদ্ধে কিছু লেখা যাবে না। বিচিত্রার ১০ বছর উপলক্ষে আমি তখন লিখেছিলাম, যদি সরকারের সমালোচনা করতে না দেয়া হয় তাহলে বিরোধী দলের সমালোচনা করার নৈতিক কোনো অধিকারও আমার থাকে না। বলা যায়, এরশাদের সময়েই আমরা একটু ব্যালান্স হয়েছিলাম। সরকার ও তার বিরোধী পক্ষ, উভয়ের বিরুদ্ধেই তখন মেপে মেপে লিখতে হতো। কিন্তু এর আগ পর্যন্ত ‘বিচিত্রা’ ভিন্ন ধারায় ছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অটল থাকাটা আমাদের প্রধান অঙ্গীকার। সেখানে আমরা কখনও কোনো ছাড় দেইনি।

গোলাম আযম আসার পর থেকে যে জামায়াত নিয়ে লেখা শুরু হলো, আমি যদ্দিন ছিলাম, ততদিন এর কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। বহুভাবে চেষ্টা করেছে। পাকিস্তানের হাইকমিশন থেকে শুরু করে নানা মাধ্যম দিয়ে তারা আমাদের বাগে আনার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। একবার তো পাকিস্তানের হাইকমিশনার আমাকে ব্যক্তিগতভাবে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানালেন। আমি তো অবাক। পাকিস্তানের হাইকমিশনে যাব ভোজ খেতে, এটা কোনো দিন ভাবনাতেও আসেনি। এর কিছুদিন আগেই আমি জামায়াতের বিরুদ্ধে ‘বিচিত্রা’য় একটা প্রচ্ছদ কাহিনী লিখেছিলাম। শাহাদত চৌধুরী বললেন, তোমাকে পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে তারা নিমন্ত্রণ করেছে। আনুষ্ঠানিকতার একট ব্যাপার আছে। তুমি যাও। শুনে আসো, তারা কী বলে! গেলাম। আমাকে হাইকমিশনার অভ্যর্থনা জানালেন। আর একজন মাত্র অতিথি ছিল সেখানে। তিনি তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। কামারুজ্জামান, ‘দৈনিক সংগ্রামে’র নির্বাহী সম্পাদক। আমাদের বসিয়ে দিয়ে হাইকমিশনার উঠে গেলেন। কামারুজ্জামান বললেন, ভাই, আমরা তো অনেকদিন থেকেই আপনার লেখার ভক্ত। সাংবাদিক হিসেবে, লেখক হিসেবে আপনার গুণের তারিফ না করলে অপরাধ হবে। কিন্তু জামায়াতের বিরুদ্ধে লেখার সময় আপনার লেখার মধ্যে কোনো বস্তুনিষ্ঠতা থাকে না। আপনি খুব পক্ষপাতিত্ব করেন, যা আপনার সঙ্গে যায় না। আমি বললাম, আমার লেখায় কোনো তথ্যগত ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন শুধরে নেব। আর জামায়াত একাত্তরে যা করেছে, তার প্রেক্ষিতেই আমরা জামায়াতের রজনীতির বিরোধিতা করি। আমরা ‘বিচিত্রা’ পরিবার মনে করি, বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতি করার কোনো সুযোগ থাকতে পারে না। আমরা জামায়াতের রাজনীতির বিপক্ষে। তবে যদি কোনো তথ্যগত ভুল আমাদের কোনো লেখায় থেকে থাকে, তাহলে আমরা অবশ্যই তা শুধরে নিতে আগ্রহী। তারপর তিনি একটা প্রতিবাদ পাঠিয়েছিলেন। তার জবাবটাও আমি লিখেছিলাম।

সাপ্তাহিক : সাংবাদিকদের মধ্যে আজকের যে বিভাজন জামায়াতকে কেন্দ্র করে, সেটা কি তখন ছিল না?

শাহরিয়ার কবির : প্রথমে ওভাবে ছিল না। আস্তে আস্তে হলো। বাকশাল, এন্টি বাকশাল করেই তখন সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজন হলো। বাকশাল যখন হয়, তখন অনেকেই তাতে যোগ দিয়েছিলেন। এমনকি কট্টর চীনপন্থি, পার্টির কার্ড হোল্ডার সাংবাদিকরাও যোগ দিয়েছিলেন। ‘দৈনিক বাংলা’, ‘বিচিত্রা’ থেকে আমরা ১৫ জনের মতো বাকশালে যাইনি। আমাদের মধ্যে আল মাজীসহ কয়েকজন গিয়েছিল। আমরা এই নিয়ে তখন একটা মিটিং করেছিলাম ‘দৈনিক বাংলায়’। আমার মনে আছে, কবি শামসুর রাহমান তখন বলেছিলেন, আমার বাড়িতে একটা টয়লেট নেই। আমি তো কখনও সরকারকে বলিনি যে, আমাকে এটা ওটা দিতে হবে। সরকার কেন আমাকে বলে দিচ্ছে, এই দলে, ওই দলে যোগ দিতে হবে! আমার কখন কী দরকার, সরকারকে তো আমি তা দেখতে বলিনি। তার কী লাগবে তা কেন আমাকে দেখতে হবে। আমি আমার চিন্তাভাবনার মধ্যে বা শোয়ার ঘরে, কোথাও কোনো সরকারি তদারকি সহ্য করব না।

শামসুর রাহমানের বক্তব্য সেদিন আমাদের উজ্জীবিত করেছিল। এরপর শুরু হলো গ্রুপিং। ইউনিয়ন ভাগ হয়ে গেল। আমি এন্টি বকশাল গ্রুপে ছিলাম। কিছুদিন পর নির্বাচন। একজন ভোট চাইতে এলেন। এখন তিনি ডিইউজের সভাপতি। তার সঙ্গে রুহুল আমীন গাজী, জামায়াতের লোক, ‘সংগ্রামে’ কাজ করেন। তাকে দেখেই আমি চমকে উঠে জিজ্ঞেস করলাম, ‘সংগ্রাম’ কীভাবে আমাদের প্যানেলে এলো? কয়েকজন বললেন, ওরা তো এন্টি বাকশাল। ওদের তো রাখতেই হয়। আমি বললাম, কিন্তু এরা তো জামায়াত, স্বাধীনতাবিরোধী। হিসাব করে দেখলাম, প্যানেলে যারা আছে, তার মধ্যে অধিকাংশই চীনপন্থি। কেবল আনোয়ার জাহিদ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে তেমন কোনো অভিযোগও আনা যায় না। আনোয়ার জাহিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করার অভিযোগ ছিল, তবে তাও অতটা জোরালো না। মাহফুজউল্লাহ, রিয়াজ ভাই, এনায়েতউল্লাহ খানসহ আরও অনেকেই ছিলেন, যাদের অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা। আমি বুঝতে পারলাম না, কীভাবে তারা জামায়াতকে সমর্থন দিচ্ছেন! বললাম যে, জামায়াতকে নিলে কাউকেই ভোট দেব না। তখন তারা বললেন যে, আপনি না দিতে পারেন, কিন্তু ইউনিটকে কিছু বলবেন না। আমি বললাম, না, আমাদের ইউনিটের কেউই জামায়াতের প্যানেলে ভোট দেবে না। ‘বিচিত্রা’য় বসে আমরা সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিলাম, ‘সংগ্রাম’কে ভোট দেব না। তাই হলো, সেবার তারা হেরে গিয়েছিল। ওই সময় আমি এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি। এ কেমন রাজনীতি! আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে জামায়াতকে সমর্থন করতে হবে, এর মধ্যে আমি নেই। (২)

রেফারেন্সঃ

(১) মুক্তিযুদ্ধকালে আমি পাক আর্মিদের ক্যাম্পে মুরগী সাপ্লাই করতাম, এটা সত্য নয় -শাহরিয়ার কবির, দৈনিক সংগ্রাম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩,

(২) আত্মজৈবনিক সাক্ষাৎকার, রাঙা মেঘ সাঁতরে যায়-শাহরিয়ার কবির , সাপ্তাহিক, বর্ষ ০৭, সংখ্যা ১৮, ০২ অক্টোবর, ২০১৪

(লিখিত, ২১ ডিসেম্বর ২০২০)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *