ইউরোপীয় খ্রিস্টান সংস্কার আন্দোলন ও ইসলাম

ক্যাথলিসিজম খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান ধারা ও মূলধারা। ক্যাথলিকরা পোপকে মনে করে যীশুর প্রতিনিধি। তিনি সকল প্রকার মানবিক ভুলের উর্ধে। যিশু ও তার বারো শিষ্য (Twelve Apostles) প্রবর্তিত প্রথম ও অবিভক্ত খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে শুরু করে নিরবচ্ছিন্ন প্রেরিত-পুরুষ পরম্পরার (Apostolic Succession) মাধ্যমে এই গির্জা এখন পর্যন্ত টিকে আছে। গির্জাটির কেন্দ্রীয় প্রশাসন কাঠামোকে ‘পবিত্র পোপরাজ্য’ (papacy) বলে। ইতালির রাজধানী রোম শহরের মাঝখানে একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ভ্যাটিকান শহরে এই ধর্মীয় রাজ্য অবস্থিত। এর কেন্দ্রীয় প্রধান হচ্ছেন পোপ। পোপ একই সাথে দুনিয়াব্যাপী যত ক্যাথলিক চার্চ রয়েছে সেগুলোরও আধ্যাত্মিক প্রধান। তুর্কিদের হাতে ১৪৫৩ সালে পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের শেষ ঘাঁটি বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল (ইস্তাম্বুল) পতনের পর যেসব বুদ্ধিজীবী, ধর্মীয় গুরু ও শিল্পীরা পালিয়ে পশ্চিম ইউরোপে এসেছিল, তাদের মধ্য থেকেই ইউরোপীয়দের চিন্তাজগতে নবজন্মের শুরু হয়, যাকে বলে রেনেসাঁস। এই রেনেসাঁসের ধারাবাহিকতায় ধর্মের সংস্কারের আওয়াজ উঠে। ক্যাথলিকদের সাতটি ইবাদত (রিসুয়াল) পালন করতে হয় এবং এই ইবাদতকে কেন্দ্র করেই মূলত মধ্যযুগে খ্রিস্টান ধর্মের মধ্যে সংস্কারের আওয়াজ উঠে। ইবাদতগুলো হলঃ

(১) Baptism (পবিত্র পানি দিয়ে গোসল, ধারনা করা হয় একজন মানুষের এতে নতুন জন্মলাভ ঘটে, পূর্বোক্ত সব পাপ মোচন ঘটে। প্রত্যেক ক্যাথলিকের জীবনে জন্মের ৭ দিনের মধ্যে ১ বার ব্যাপটাইজড ঘটে।)

(২) Eucharist (রুটি ও মদ দিয়ে যিশুর শেষ নৈশভোজ অনুষ্ঠানের সিম্বলিক উদযাপন)

(৩) Confirmation (একজন ধার্মিক হিসেবে পোপ বা পাদ্রী কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ। সাধারণত ৭ বা ১১ বছর বয়সে এই স্বীকৃতি নিতে হয়।)

(৪) Penance/Reconciliation or confession (পাদ্রীর কাছে পাপের স্বীকারোক্তি। ধারনা করা হয় এতে পাপ মোচন ঘটে। পাপ মোচন ব্যাতীত কারো আত্মার মুক্তি ঘটে না।)

(৫) Anointing of the sick (মুমূর্ষকে দেখতে যাওয়া)

(৬) Marriage(বিবাহ)

(৭) Holy orders (যিশুর প্রতিনিধি হিসেবে পোপতন্ত্রের যে কাঠামোগত প্রতিনিধিত্ব আছে সেটায় বিশ্বাসস্থাপন)

উপরোক্ত ৭ টি মূল ইবাদত তাদের ধর্মীয় আকিদাও। প্রত্যেকটি ইবাদতে পাদ্রী/ফাদার সরাসরি জড়িত। পাদ্রীর অংশগ্রহণ ছাড়া কারো পক্ষে একা একা এই ইবাদতগুলো আমল করা সম্ভব না। ৭ নাম্বারকে আকিদার মর্যাদা দেয়া হয়েছে যিশুর মৃত্যুর পর। খ্রিস্টান ধর্মকে কেন্দ্রীভূত করা হয় মূলত ৭ং আকিদার মাধ্যমে। উপরোক্ত ইবাদতের মধ্যে ২,৪ ও ৫ ছাড়া বাকীগুলো জীবনে ১ বার করে করতে হয়।

৭ নাম্বার থেকে ধর্মীয় বৈধতা নিশ্চিত করে, পোপতন্ত্রের রাজনীতিটা ছিল মূলত ৪ নাম্বারকে কেন্দ্র করে। মধ্যযুগের ইউরোপে খ্রিস্টান মানুষজন মারা গেলে পোপের কাছ থেকে পাপমুক্তির সার্টিফিকেট না পাওয়া পর্যন্ত কবরস্থ করা হত না। মৃতের পক্ষে আত্মীয়-স্বজনকে এই পাপমুক্তির সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য প্রচুর অর্থ দিতে হত। এই অর্থের মাধ্যমে ক্যাথলিক গির্জা বিশাল ভূসম্পত্তির মালিক বনে যায়। অন্যদিকে, ধর্মীয় গুরুরা গির্জার ধর্মীয় প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে নিজেদেরকে ‘ইশ্বরের প্রতিনিধি’ দাবী করে এক ধরণের ক্ষমতার চর্চা করত, যাকে ‘যাজকতন্ত্র’ (Theocracy বা পুরোহিততন্ত্র) বলে। এই ক্ষমতা ছিল দুই ধরনেরঃ এক, সরাসরি কিছু জায়গায় রাজ্য শাসন। দুই, পুরো ইউরোপে সাবেক রোমান সাম্রাজ্যের যত রাজ্য ছিল, সেসব রাজ্যে রাজা কে হবে না হবে সে বিষয়ে তারা খবরদারি করত এবং নতুন রাজাকে পোপের আনুগত্য মেনে নিতে হত। তখন পোপ তাকে রাজ্য শাসনের ধর্মীয় বৈধতার সিলপত্র দিতেন। এর জন্য পোপকে নিয়মিত কর (Tax) দিতে হত।

ক্যথলিক গির্জার এই প্রভাবের প্রতিক্রিয়া হল বিভিন্নভাবে। পলিটিক্যাল লেবেলে, ভুসম্পত্তির দখল নিয়ে কোথাও কোথাও গির্জা ও শাসক রাজার সাথে দ্বন্দ্ব বাঁধে, চলে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ। অন্যদিকে শাসকদের ওপর প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে খ্রিষ্ট ধর্মের নামে যে সীমাহীন অত্যাচার ও নিপীড়নের শাসন কায়েম হয়েছিল তাতে মানুষজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। মানুষজনকে আয়ের এক দশমাংশ কর (tithe) দিতে হত কেন্দ্রীয় গির্জার প্রতিনিধি স্থানীয় গির্জাকে। সেই কর দিয়েই মূলত গির্জার রক্ষণাবেক্ষণ চলত। এই অবস্থা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে প্রথম প্রতিবাদ আসে ধর্মতাত্ত্বিকদের মধ্য থেকেই। ‘মার্টিন লুথার’ নামে একজন জার্মান ক্যাথলিক ধর্মযাজক ও ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক সর্বপ্রথম রোমান ক্যাথলিক পুরোহিততন্ত্রের সমালোচনা করে লিখেন তাঁর বিখ্যাত ‘৯৫ থিসিস’। এই লেখার মাধ্যমে ইউরোপীয়ানদের চিন্তার রাজ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ইউরোপীয়ানরা দেখল ধর্মীয় ব্যাখ্যার মাধ্যমেই যাজকতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা যায়। শুরু হয় প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলন।

প্রোটেস্ট্যান্টরা শুরুতে উল্লেখিত ৭ টি ইবাদতের বেশ কয়েকটিই অস্বীকার করেছে, নয়ত ভিন্ন ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছে, যে ব্যাখ্যার অন্যতম লক্ষ্য ছিল ক্যাথলিক গির্জার প্রভাবকে খর্ব করা। বিশেষভাবে ৪ ও ৭ নং ইবাদত ছিল তাদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য। ৭ নং যখন নড়েচড়ে উঠে বাকী সবগুলো প্রভাবিত হয়। প্রোটেস্ট্যান্টগন মনে করেন ঈশ্বর কর্তৃক প্রদত্ত পবিত্র বাইবেল হল একটি সম্পূর্ণ বিধান এবং একমাত্র বাইবেলের শিক্ষাই জগতের পাপীগণের মুক্তিলাভ করার জন্য যথেষ্ট। তাদের মতে সকল ধর্মীয় বিশ্বাস ও নৈতিকতার চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ হল বাইবেল। প্রোটেস্ট্যান্টদের এই ধারনার উৎস হল ‘Five Scriptura’ বা পাঁচ প্রত্যাদেশ। এই পাঁচ প্রত্যাদেশের একটি হল ‘Sola Scriptura’। ক্যাথলিকগণ এই ধারণা সঠিক মনে করে না। তাদের মতে পবিত্র বাইবেলের পাশাপাশি রোমান ঐতিহ্যগত অনুশাসনও (Tradition) একজন খ্রীস্টানের জন্য সমান ভাবে প্রযোজ্য। তারা আরো বলেন খ্রীষ্ট সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রধান হিসাবে পোপের কর্তৃত্ব স্বীকার করতে হবে। ক্যাথলিকরা ঈশ্বর ও যীশুর পাশাপাশি পূর্বোক্ত বিভিন্ন সাধুদের (saint) উদ্দেশে প্রার্থনা করে, কিন্তু প্রোটেস্ট্যান্টরা তাদের স্বীকার করলেও প্রার্থনা করে না। প্রোটেস্ট্যান্টদের কোন কোন ধারা মনে করে কেবল যিশুর প্রতি বিশ্বাসই মুক্তি মিলবে, কোন ইবাদত না করলেও চলবে। যিশু তাদের সকলের মুক্তির জন্য জীবন দিয়ে গেছেন। অর্থাৎ, এই ব্যাখ্যার মাধ্যমে ৪ নং ইবাদতকে কেন্দ্র করে যে ব্যবসা গড়ে উঠেছিল সেটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।

রাজনৈতিক ভাবে ঘটল আরো যুগান্তকারী ঘটনা। মার্টিন লুথার স্রষ্টার একচ্ছত্র ক্ষমতায় বিশ্বাস করতেন। তবে তিনি বাইবেলের রেফারেন্সেই ‘ইশ্বরের রাজ'(Kingdom of God) এবং ‘দুনিয়ার রাজ’ (Earthly Kingdom) এর মধ্যে পার্থক্য করেন। পরবর্তীতে তার অনুসারী প্রোটেস্টেন্ট তাত্ত্বিকেরা এই ধারনাকে আরো বিস্তৃত করেন। ফ্রান্সের প্রোটেস্টেন্ট আন্দোলনের শীর্ষ ধর্মতাত্ত্বিক জন কেলভিন বাইবেলের রেফারেন্স দিয়েই ‘ইশ্বরের রাজ’ এবং ‘মানুষের রাজ’ (Civil Government) এর মধ্যে পার্থক্য করেন। বস্তুত, রোমান ক্যাথলিক যাজকতন্ত্রের প্রতিষ্ঠিত ‘ইশ্বরের রাজ’ মতবাদ থেকে দুনিয়ায় মানুষের কর্তাসত্তাকে (এজেন্সি) প্রতিষ্ঠিত করার বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই শুরু হয় প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের মাধ্যমে। অবস্থাদৃস্টে মনে হয় এই আন্দোলন সেসময়ের জন্য জরুরী ছিল। রোমান ক্যাথলিক গির্জার ‘ইশ্বরের রাজ’ তত্ত্বের বিরুদ্ধে ‘মানুষের রাজ’ প্রতিষ্ঠার পক্ষের লোকদের মধ্যকার ক্ষমতার লড়াই ও দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপটেই ধর্ম বিরোধী মনোভাবের বিস্তার ঘটে। সেটার ধারাবাহিকতাই এনলাইটেনমেন্টে (আলোকায়ন যুগ) সেকুলারিজমের আবির্ভাব ঘটে। মতবাদ আকারে সেকুলারিজম প্রতিষ্ঠিত হবার আগেই ইউরোপে চার্চ ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এটাকে প্রোটেস্টেন্ট আন্দোলনের সফলতা বা ফলাফল বলা যেতে পারে।(১)

ইউরোপীয়দের এই অভিজ্ঞতা দুনিয়ার অন্যান্য জনপদে দেখা যায় না। ইসলামে মসজিদ বা মাদ্রাসা তো কখনো ভলান্টারি ভূমিকার বাহিরে সরাসরি রাষ্ট্র ক্ষমতা চর্চা করেনি। উমায়াহ বংশীয়দের শাসনকাল থেকেই ধর্মীয় নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব একপ্রকার আলাদা হয়ে গিয়েছিল। ইসলামে উলামাদের মূলধারা সব সময় রাষ্ট্রীয় প্রভাবের বাহিরে থেকে জ্ঞানচর্চা করতে চেয়েছে এবং ইসলামী জ্ঞানকান্ড গড়ে উঠেছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার বাহিরে। উলামারা পরোক্ষভাবে শাসককে প্রভাবিত করতে সচেষ্ট থেকেছে। মোটাদাগে এই পার্থক্য ইসলামের ভেতর ‘প্রোটেস্ট্যান্ট’ টাইপ আন্দোলন হতে দেয় না।

ধারা হিসেবে ইসলামে খ্রিস্টান প্রোটেস্ট্যান্ট ধারার কিছুটা তুলনা চলে কিছুটা শিয়াইজমের সাথে, আর ঐতিহ্য বাদ দিয়ে কেবল কিতাব/টেক্সট/স্ক্রিপ্টের ওপর জোর দেয়ার দিক দিয়ে তুলনা চলে ওয়াহাববাদী সালাফীজমের সাথে। তবে, এখানেও মৌলিক পার্থক্য আছে। খ্রিস্টানিটির মত ইসলামে পোপতন্ত্র ধরনের কোন কাঠামোগত হায়ারার্কি নাই। শিয়াইজমে ঈমামতের ধারনা ও প্রতিষ্ঠান কিছুটা পোপতান্ত্রিক, যেটা সুন্নী ইসলামে নাই। পোপতান্ত্রিকতা বা ঈমামতের ধারনা থাকার সুবিধা যেমন আছে, আছে কিছু অসুবিধাও। সুবিধা হল ধর্ম কোন সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠীর হাতে বন্ধি নয়। কেন্দ্রীয় কর্তৃত্বের অভাবে ধর্মীয় ব্যাখ্যার বহুমাত্রিক ধারা ইসলামে রয়েছে, যা ইসলামকে সচল রেখেছে। অসুবিধা হল, ধর্মের ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা থেকে উপনিবেশ পূর্ব সময়ে বিভিন্ন ফির্কা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে গেলে এসব ফির্কা বিরোধে মোর নেয় এবং মুসলিম সমাজকে আভ্যন্তরীণভাবে দুর্বল করে দেয়। উপনিবেশিক শাসনের প্রভাবে কেন্দ্রীয় শাসনের বিলুপ্তির পর উপনিবেশ উত্তর সময়ে আবির্ভাব ঘটেছে বিভিন্ন মতবাদের। সেসব ফির্কা প্রভাবিত মতবাদ মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক রেশারেশি ও টেনশন তৈরি করেছে।

মনে রাখা জরুরি এই টেনশন পুরোপুরি আধুনিক প্রবণতা। এর থেকে উত্তরণের জন্য কেউ কেউ ইউরোপীয় স্টাইলে প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলনের মত করে সংস্কারের দাবী তুলেন। কিন্তু ক্যাথলিসিজমের মত ইসলাম জুলুমের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয় নি। মুসলিম ধর্মীয় গুরুরা চার্চের মত সরাসরি রাষ্ট্র ও ক্ষমতার চর্চা করে না। ধর্মীয় গুরুদের দ্বারা সাধারন মানুষ নিগৃহীতও নয়। মোটকথা, ইউরোপীয় অভিজ্ঞতা আমাদের এখানে অনুপস্থিত। এ কারনে আমাদের আমূল সমাজ সংস্কার হয়নি। বৈপ্লবিক কোন সংস্কার এখানে হবে কিনা আমি সন্দিহান। সুন্নী থিওলজিতে বিপ্লবী উপাদানের উপস্থিতি নিয়েও আমার সন্দেহ আছে। উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনের প্রভাবে আমাদের আলেম সমাজ আগের তুলনায় বেশি মাত্রায় রক্ষণশীল। রক্ষণশীলতা চরিত্রগতভাবে সংস্কার বিমুখ। এ কারনে আমাদের আলেম সমাজ রিফর্মের এজেন্ট হয়ে উঠেনি। এ কারনে আমার মনে হয় সুন্নী অধ্যুষিত মুসলিম সংখ্যাগুরু জনপদে বিপ্লব বা বৈপ্লবিক পরিবর্তন হলে হবে নন-আলেম গ্রুপ থেকে। ধর্মের বোঝাপড়া ব্যাতীত সামগ্রিক সমাজ সংস্কার সম্ভব নয়। আর তাই এখানকার রিফর্ম হবে খুবই ধীরগতির। স্বয়ং রাষ্ট্র হচ্ছে এখানে প্রধান রিফর্ম এজেন্ট।

নোটঃ

(১) ইউরোপে সেকুলারিজমের আবির্ভাব ও আমাদের জমিনে এর বোঝাপড়া কিভাবে হবে, এই নিয়ে আরো বিস্তারিত লিখেছি অন্য একটি পোস্টে, https://nazmul.blog/2021/06/22/%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%b8%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%83-%e0%a6%b8/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *