বিএনপির সংকট

আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কোনটাই সংস্কারবাদী দল না। তারা মুলত ক্ষমতাকাঙখী দল। সেজন্য রাষ্ট্রসংস্কারের কর্মসূচী নিয়ে তাদের আগ্রহ তেমন একটা নেই। স্বাধীনতার পর থেকে এই দুটি দল ও সেনাবাহিনী পালাক্রমে দেশে উপনিবেশিক আইন, কাঠামো ও নিপীড়নের কালচার ঠিক রেখে শাসন করে গেছে। সেটার ধারাবাহিকতাই এখন দেশে সিভিলিয়ান স্বৈরাচার কায়েম হয়েছে। যেই শাসনের ভিক্টিম এখন বিএনপি নিজেই। এর কারন বিশদভাবে বিশ্লেষণ হওয়া জরুরি। বিশেষকরে, যারা নতুন রাজনীতি করার আশা আকাঙ্খা ও তৎপরতা চালাচ্ছেন তাদের জন্য জানা জরুরী বিএনপি প্রজেক্ট কেন ফেইল করল।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান অর্জনের ২ বছরের মাথায়, আজাদী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বিপুল জনপ্রিয় মুসলিম লীগের পাটাতনে দাঁড়িয়েই যেভাবে মুসলিম লীগ বিরোধী রাজনীতি নিয়ে হাজির হয়েছিল আওয়ামী লীগ। অনেকটা সেরকমই, তবে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মাথায়, স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়া বিপুল জনপ্রিয় আ’লীগের পতন ঘটলে, বিএনপির অভ্যুদয় ঘটে। মোটাদাগে যে লোকগুলো বাঙালী জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭১ সালে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে একটি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্রের পত্তন ঘটিয়েছিল তাদের হাতেই বিএনপি গঠিত হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। দুই দলের মধ্যকার মৌলিক পার্থক্য হল: আ’লীগের মত তৃণমূল থেকে সংগঠন বিস্তার ঘটিয়ে, নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে এবং মাঠে রাজনীতি করে  অর্গানিকভাবে গড়ে উঠেনি বিএনপি। বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনাকারী যে দুটি রাজনৈতিক দল সেনাবাহিনী রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালীন ক্ষমতাসীনদের মর্জি মোতাবেক রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধারার দল থেকে নেতাকর্মি এনে জোরাতালি দিয়ে গঠিত হয়েছে- বিএনপি তাঁর অন্যতম। অন্যটি জাতীয় পার্টি। বিএনপির ব্যপক জনপ্রিয়তা স্বত্বেও, আমার মতে এটিই বিএনপির অন্যতম সংকট। লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ বিএনপি নিয়ে ২০১৬ সালে লেখা বইয়ে জানাচ্ছেন, ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে বিএনপি ২০৭টি আসন পেয়ে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। বিএনপি থেকে নির্বাচিতদের ৪০ শতাংশ ছিলেন অরাজনৈতিক ব্যক্তি; ১৬ শতাংশ এসেছিলেন মুসলিম লীগ থেকে, ১৫ শতাংশ এসেছিলেন ন্যাপ ভাসানী থেকে এবং ৯ শতাংশ আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলেন। অর্থাৎ, আওয়ামীলীগ ও কমিউনিস্ট মিলেই ছিল ২৫%।(১)

মহিউদ্দিন আহমদের মতে, বিএনপি’র রাজনীতিকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে আলাদা করার লক্ষ্যে ‘দলের প্রতিষ্ঠালগ্নে বাঙালী মুসলমানের আত্মপরিচয়ের সন্ধানে যুক্তিসঙ্গত ভাবেই ইসলামকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা’। যেভাবে  আওয়ামীলীগ নিজেদেরকে ভিন্ন প্রমাণ করতে পাকিস্তান আমলে মুসলিম লীগের ‘মুসলিম জাতীয়তাবাদের’ স্থলে নৃতাত্ত্বিক বাঙালী পরিচয়কে হাজির করেছিল, তেমনি কৌশলগতভাবে আ’লীগের ভাষাভিত্তিক বাঙালী জাতীয়তাবাদের স্থলে ভূগোলভিত্তিক বাংলাদেশী জাতীয়াতাবাদ হাজির করেছিল বিএনপি। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের এই ভার্সনে কৌশলগতভাবে ইসলামকে সহ্য (টলারেট) করা হয়েছিল, কিন্তু প্রাইমেসী দেয়া হয়নি কখনোই। ধর্মীয় রক্ষণশীল রাজনীতি থেকে নিজেদের দুরুত্ব বজায় রাখার স্বার্থেই বোধহয় এটা করা হয়েছিল। সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিকে নতুন জাতীয়তাবাদ নির্মাণে আমলে নেয়া হয়েছিল মাত্র। সময়ের দাবী মোতাবেক আ’লীগের বিপরীত রাজনীতি দাঁড় করানোর লক্ষ্যে বিএনপির উদ্যোক্তারা আওয়ামীলীগ বিরোধী প্রায় সকল ধারার লোকদের দলে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। কিন্তু, আত্মপরিচয়ের ক্ষেত্রে ইসলামকে গুরুত্ব দেয়া আর ইসলামিক নীতি ও আইন মোতাবেক (যেটা ইসলামপন্থা প্রস্তাব করে) রাজনীতি করা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়, যা বিএনপি অস্বীকার করে।(২) মতাদর্শিকভাবে বিএনপির অবস্থান বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের মতে-‘ডানপন্থীদের বামে, বামপন্থীদের ডানে’। এই সুবিধাজনক অবস্থান ক্ষমতার রাজনীতির জন্য মানানসই হলেও নেতা কর্মিদের মধ্যে কোন শক্তিশালী মতাদর্শিক কমিটমেন্ট তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

বিএনপির বর্তমান সংকটের অন্যতম আরেকটি দিক হল নেতৃত্ব। বর্তমান দলে নেতৃত্ব নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। বিশেষকরে তারেক রহমানের নেতৃত্ব মানতে নারাজ দলের মুরুব্বী হাই কমান্ড। প্রথম আলো প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দলটির মহাসচিবের মন্তব্যে এর সত্যতা মিলে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, “যাঁরা বেগম জিয়ার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন বা তারও আগে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করেছেন, স্বাভাবিকভাবেই প্রথম দিকে তারেক রহমানের নেতৃত্বটাকে চট করে মেনে নিতে তাঁদের হয়তো একটু দ্বিধা হয়েছে। এখন নেতৃত্ব নিয়ে কোনো মতপার্থক্য নেই। বরং এখন আমরা দলে একটা যৌথ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি।”(৩) দলে মতপার্থক্য নেই মির্জা ফখরুল এমন দাবী করলেও ‘তারেকের নেতৃত্বে বিএনপি দাঁড়াতে পারছে না’ শিরোনামের প্রথম আলোর ঐ প্রতিবেদন দেখাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।

গত অর্ধযুগ যাবত বিএনপি কার্যকর কোন সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। বিএনপির নেতারা সরকারী নিপীড়নকে বর্তমানে দলটির অকার্যকরতার জন্য দায়ী করে থাকেন। নিশ্চয়ই গুম, খুন, জেল, মামলা-হামলা দলটির বিপর্য্যের অন্যতম একটি দিক। কিন্তু আমার কাছে বিএনপি’র সংকটের মূল কারন বাহিরের প্রভাব (সরকারী নিপীড়ন) নয় বরং আভ্যন্তরীন। বিএনপিতে তারেকের নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন সীমাবদ্ধ নয়, দলের পলিসি নিয়েও রয়েছে মুরুব্বী হাই কমান্ডের সাথে মতপার্থক্য। মহিউদ্দিন আহমদ তাঁর বইতে লিখেন; ”জনমনে একধরনের ধারণা তৈরি হয়েছে যে, তারেক রহমান লন্ডনে বসে নানান পরামর্শ দিয়ে দলকে ডোবাচ্ছেন। খালেদা জিয়াকে বিভ্রান্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। দলের মধ্যে অন্য আরেকটা মতও আছে। সেটি হলো—তারেক রহমান অনেক বেশি বাস্তববাদী। কিন্তু বেগম জিয়াই একগুঁয়ে মনোভাব নিয়ে দল চালাচ্ছেন। অনেকের ধারণা, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করার যে সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছিল, তা তারেক রহমানের ইচ্ছা অনুযায়ীই হয়েছিল। নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটি বেগম জিয়ার, তারেকের নয়।…বেগম জিয়া যাদের পরামর্শে চলেন, তাঁরা ভালো করেই জানেন, দলে তারেকের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের অবস্থান টলে যাবে, হয়তো বিদায় নিতে হবে। তাঁরা এমনও মনে করেন, তারেক দলের কর্তৃত্ব নেওয়ার চেয়ে আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় রাখা তাঁদের জন্য নিরাপদ।”(৪)

এই দ্বন্দ্ব আরো প্রকট হয় খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন জেলে থাকার ফলে। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দলের প্রধান হিসেবে তারেকের হাতে কার্যকর ক্ষমতা থাকলেও দলে তাঁর নেতৃত্ব এখনো সংহত হয়ন। উল্টো তারেক তাঁর পছন্দের নেতা কর্মিদের দিয়ে দলে এক ধরনের কর্তৃত্ববাদী নেতৃত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছেন বলে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ২০১৯ সালে বিএনপির নেতা জয়নুল আবদীন ফারুকের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। তিনি বলেন (সরকারী নিপীড়নের পাশাপাশি)”আমাদেরও কিছু দুর্বলতা আছে। অনেক জায়গায় আমরা সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের কাজটা করিনি। নিজেদের পছন্দমতো লোক বসিয়েছি কমিটিতে। সেই নেতারা ভেবেছে, আন্দোলন করে, পুলিশের পিটুনি খেয়ে, জেলে গিয়ে লাভ কি?”(৫) ‘আন্দোলন করে লাভ কি’ মানসিকতার বিস্তার বিএনপির সর্বত্র, বিশেষকরে শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে পেয়ে বসেছে। সেজন্য বিএনপির শীর্ষ নেতারা এক ধরনের আপোষ ও সমঝোতায় চলার নীতি নিয়েছে বলে দৃশ্যমান হচ্ছে। এই কথাই ধ্বনিত হয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জম হোসেনের বক্তব্যে, যিনি বেসরকারী টিভি চ্যানেল DBC কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কেবল তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলেননি, খালেদা জিয়ার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, বলেছেন বেগম জিয়া একধরনের আপোষ করেই জেল থেকে বেরিয়েছেন।(৬)  

আন্দোলন করার জন্য দরকার উজ্জীবিত কর্মি বাহিনীর। সেজন্য দরকার নীতি ও নৈতিকতা সম্পন্ন ও দৃঢ় নেতৃত্বের। বিএনপির মধ্যে সেটা অনুপস্থিত। এমতবস্থায়, মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বাধীন বিএনপি একটি সিভিল সোসাইটির সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আমার অনুমান, এরকমভাবে বিএনপিকে বাঁচিয়ে রাখতে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিএনপি’র সুনির্দিষ্ট এক শ্রেণীর নেতাকর্মিদের বিভিন্ন সুযোগসুবিধা এবং আর্থিক প্রনোদনা দিয়ে থাকে সরকার। যদিও এই দাবীর পক্ষে মেটেরিয়াল এভিডেন্স দেয়া কষ্টকর।

যে সংকটে এখন বিএনপি পতিত হয়েছে, সেখান থেকে উত্তরণ কিভাবে হবে এটা কেবল বিএনপির প্রশ্ন না, গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রশ্নও। প্রশ্ন হল, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত নেতৃত্ব রক্ষায় তারেক কি করবেন বা করতে পারতেন? অপশন আমার মতে দুইটা। এক, তারেক বিএনপিতে তাঁর প্রতিপক্ষকে নিজের যোগ্যতা ও নেতৃত্বের ক্যারিশমা দিয়ে প্রভাবিত করতে পারতেন। দুই, যারা তারেকের নেতৃত্ব মানতে নারাজ তাঁদেরকে মার্জিনালাইজড করে দলে নিজের হেজিমনি কায়েম করবেন। মরহুম জিয়াউর রহমানের পুত্র হওয়া ছাড়া তারেকের আর কোন যোগ্যতা বা ক্যারিশমা জাতির সামনে আজও দৃশ্যমান হয়নি। বিএনপিতে তাঁর নেতৃত্বের প্রতি আস্থাহীনতাও এই বার্তাই দিচ্ছে। সেজন্য, তারেক এখন দ্বিতীয় পন্থায় হাঁটছেন। যারা তাঁর নেতৃত্ব মানছে তাঁদেরকেই বিভিন্ন কমিটিতে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। ফলে, বিএনপি এখনো আভ্যন্তরীনভাবেই অস্থির অবস্থায় আছে।

বিএনপি’র রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে যারা নতুন রাজনীতি করবেন বলে আশা করছেন তাঁদের জন্য আমার দৃষ্টিতে দুটি শিক্ষা খুব ভালভাবে বুঝে নেয়া জরুরী;

১) ক্ষমতার শীর্ষে বসে গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে বিভিন্ন মতের নেতা ভাগিয়ে দল বানালে সেটার পরিনতি বিএনপি হবে। দলের জনপ্রিয়তা ও সমর্থন যতই থাকুক তাঁরা জাতীয় ক্রাইসিস মোকাবেলায় মাঠে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারবে না। এতে বিরোধী দল হিসেবে যে লেজিটেমিসির দরকার, সেটাও হারাবে।

২) বামপন্থীদের দিয়ে ডানপন্থী রাজনীতি করতে গেলে সেটার পরিণতি বিএনপি হবে।

নোটঃ
(১) মহিউদ্দিন আহমদ, বিএনপিঃ সময়-অসময়, প্রথমা প্রকাশনী, ২০১৬, পৃ.৩১৪-৩১৫

(২) উদাহরণসরূপ, বিএনপির মহাসচিব  মির্জা ফখরুল ২০১৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে বলেনঃ ‘বিএনপি শরীয়াহ আইনে বিশ্বাস করে না’। জামায়াতের মতাদর্শ থেকে নিজেদের আলাদা করতে মির্জা আরো বলেন, ‘আমরা জামায়াতের ব্যাপারে প্রশ্নের সম্মুখিন হই। বিএনপি কিন্তু জামায়াত নয়। বিএনপি শরীয়াহ আইনে বিশ্বাস করে না। বিএনপি মৌলবাদেও বিশ্বাস করে না। জামায়াতের ব্যাপারে আমাদের কোন মোহ নেই।’ (ইত্তেফাক, বিএনপি শরীয়াহ আইনে বিশ্বাস করে না: মির্জা ফখরুল, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮)। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএনপির যারাই মহাসচিব হয়েছেন তাঁদের বড় অংশই সাবেক বামপন্থী রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।রক্ষণশীল বা ইসলামপন্থী কাউকে বিএনপির শীর্ষ পদেও দেখা যায় নি।

(৩) প্রথম আলো, ‘তারেকের নেতৃত্বে বিএনপি দাঁড়াতে পারছে না’, ২৪ জুন ২০২১, https://bit.ly/2StFHAs  

(৪)মহিউদ্দিন আহমদ, বিএনপিঃ সময়-অসময়, পৃ.৩১৫-৩১৮

(৫) জয়নুল আবদীন ফারুকের সাক্ষাৎকার, প্রথম আলো, ‘আমরা এখন নেতা-শূন্য’ (৭ জুন ২০১৯, shorturl.at/ikFT7)

(৬) DBC News, “খালেদা জিয়ার ‘যোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান”, অক্টোবর ১০, ২০২০, https://www.youtube.com/watch?v=XCQhVMGIMis

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *